Skip to main content

ভারতবিরোধী যুদ্ধে সার্বিক প্রস্তুতিতে করণীয়

 

🇧🇩ভারতবিরোধী যুদ্ধে সার্বিক প্রস্তুতিতে করণীয়
✴️ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ এখন বাস্তবতা। বিপ্লবের পর আমরা দিন দিন ভারতীয় ঘৃণা বাড়তে দেখছি। ভারত কোন কালেই আমাদের বন্ধু হবেনা। তাই প্রস্তাভগুলো তুলে ধরলাম।
আমার প্রস্তাব পুরোটাই যুদ্ধ প্রস্তুতি কেন্দ্রিক। এতে অতিবিপ্লবী চরিত্র ধরা পড়তেই পারে। কিন্তু রাষ্ট্র যদি প্রথম অগ্রাধিকার হয় তবে এর বিকল্প নাই।
✴️প্রস্তাবগুলো হল-
✈️ভারতের বিরুদ্ধে সামাজিক সংহতি ও সচেতনতা তৈরী করতে গ্রাম থেকে জাতীয় পর্যায়ে "ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ কমিটি" গঠন করতে হবে।
✈️জরুরী ভিত্তিতে বিএমএ স্পেশাল কোর্সের মাধ্যমে বাহিনীগুলোতে অফিসার নিয়োগ দিতে হবে, ভারতের বিরুদ্ধে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে।
✈️সমস্ত নৌ, বিমান, স্থলবন্দর ও জাতীয় মহাসড়কসমূহ "রিজনেবল একোমোডেশন এন্ড রিএলাইনমেন্ট"-এর ভিত্তিতে প্রস্তুত করতে হবে।
✈️বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের যুদ্ধকালীন ব্যবস্থাপনার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
✈️প্যারামিলিটারি বাহিনীগুলোকে নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করতে হবে।
✈️বিএনসিসি, স্কাউট, কমিউনিটি পুলিশকে প্রস্তুত করতে হবে।
✈️হাইস্কুল, কলেজ, বিশ্বিবদ্যালয়ের ও মাদ্রাসা র শিক্ষার্থীদের শর্ট মিলিটারি ওয়ারফেয়ার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ভারতের বিরুদ্ধে।
✈️মিলিটারি লজিস্টিকস দ্রুত কিনতে হবে।
✈️বাংলাদেশের সকল হ্যাকারদের নিয়ে সাইবার ওয়ারফেয়ার কাউন্সিল গঠন জরুরী। ভারত কই যায় দেখব!
✈️ভারতের বিরুদ্ধে কম্প্রিহেন্সিভ, ইন্টিগ্রেটেড ও হলিস্তিক যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হবে।
✈️ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জনগণের যুদ্ধ সচেতনতা বাড়াতে 'ওয়ার লিটারেসি' বা যুদ্ধ সাক্ষরতা কর্মসূচী নিতে হবে।
✈️ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে স্কুক, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষন দিতে হবে।
✈️ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে জয়েন্ট মিলিটারি এক্সারসাইজ করা ফরজ।
✈️ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করতে ডায়াসপোরা ওয়ার কাউন্সিল গঠন করতে হবে।
✈️ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সকল মসজিদ, মন্দিরের মাধ্যমে প্রার্থনা ও প্রোপ্যাগান্ডা চালাতে হবে।
✈️ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার জন্য 'ইমারজেন্সি যুদ্ধ তহবিল' গঠন করতে হবে যেখানে সবাই দান করতে হবে। হোক এক মুঠো চাল।
✈️ভারতের সাথে যুদ্ধ হলে যাতে খাদ্যাভাব না হয় তাই জরুরী ফুড ব্যাংক তৈরি করে মজুদ বাড়াতে হবে।
✈️ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মিয়ানমার যাতে পাশে থাকে তাই জি টু জি এবং পি টু পি যোগাযোগ বাড়াতে হবে। প্যাক্ট করা জরুরী।
✴️
আল্লাহ হাফেজ।
ছাত্র জনতার বিপ্লব অমর হউক।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

Comments

Popular posts from this blog

মার্কস দেবতার জীবন ও কর্ম

মার্কস দেবতার জীবন ও কর্ম নুরুল মোস্তফা কামাল জাফরী ... আমরা যারা মার্কসবাদী, নিজেদের মার্কসের অনুসারী বলে পরিচয় দেই — আমরা মার্কসের অনুসারী একারণে নই যে তিনি অসামান্য প্রতিভাধর ব্যক্তি ছিলেন। কারণ মানব ইতিহাসে আরও অনেক অসামান্য প্রতিভাধর ব্যক্তি আবির্ভূত হয়েছেন। আমরা মার্কসবাদী এজন্য যে, একমাত্র মার্কসই আমাদের সঠিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক পথ দেখিয়ে গেছেন। এই পথ যে শুধুমাত্র পৃথিবীকে বদলে দেবে তা নয়, একইসাথে আমাদেরকেও একটি উচ্চতর সাংস্কৃতিক ও নৈতিক স্তরে নিয়ে যাবে। মার্কস না হয়ে অন্য কেউ যদি এ কাজ করতেন, তবে আমরা তাঁরই অনুসারী হতাম। মার্কসের যুগান্তকারী অবদানকে বুঝতে গেলে মনে রাখতে হবে যে, মার্কসের আগে অন্যান্য দর্শনগুলো ছিল সামাজিক সংগ্রামের সঙ্গে সংযোগবিহীন। এই সমস্ত দর্শন শুধুমাত্র পৃথিবীকে ব্যাখ্যা করেছে। আর যেহেতু এ সমস্ত দর্শনই ছিলো ব্যক্তির নিজ নিজ উপলব্ধি এবং কল্পনা থেকে সৃষ্ট — তাই এগুলো সবই মূলত ভাববাদী। মানুষের ইতিহাসে কার্ল মার্কসই সর্বপ্রথম সমাজবিজ্ঞান ও প্রকৃতিবিজ্ঞানের নানান শাখা হতে বস্তুজগৎ এবং সমাজ-সম্পর্কিত যে বিশেষ জ্ঞানসমূহ অর্জিত হয়েছে তাদের মধ্যে আন্তঃসম্পর্ক স্থ...

মুজিববাদ মুর্দাবাদ

  মুজিববাদ মুর্দাবাদ - নুরুল মোস্তফা কামাল জাফরী, সম্পাদক, TOT - The Oriental Tone বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান (শহীদ জিয়া) প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় গোপালগঞ্জে গিয়েছিলেন সমাবেশ করতে। পারেন নাই। গোপালগঞ্জে প্রবেশের সময় শহরের প্রধান প্রবেশ পথে স্থানীয় আওয়ামীপন্থী জনতা মানবপ্রাচীর তৈরি করে জেনারেল জিয়াউর রহমানের গাড়িবহর থামিয়ে দেয়। উত্তেজিত লীগের সমর্থকেরা শহীদ জিয়াকে উদ্দেশ্য করে 'ঘাতক', 'বঙ্গবন্ধুর খুনি' ইত্যাদি বলতে থাকে। মঞ্চ প্রস্তুত থাকলেও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বক্তব্য দিতে পারেন নাই। যে জায়গায় জনসভা হবার কথা ছিল, প্রেসিডেন্ট জিয়া সেখানে উপস্থিত হলে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে চারদিক। বিক্ষোভকারীরা মাইক ছিনিয়ে নেয় এবং মঞ্চ ভাঙচুর করে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সফরসঙ্গী নিরাপত্তা দল দ্রুত তাকে ঘিরে বেস্টনি তৈরি করে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী হেলিকপ্টার যোগে এসে সভাস্থলে অপারেশন চালিয়ে জনাব প্রেসিডেন্টকে হেলিকপ্টার যোগে গোপালগঞ্জ থেকে খুলনায় নিয়ে যান। এরশাদের ঘটনাও প্রায় একই। রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় হুসেইন মুহাম্মদ এরশা...